মিরাজের ঘটনা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।মিরাজ সকল মুসলমান বিশ্বাস করেন । আল্লাহ এ সম্পর্কে কুরআনে বলেন-
“পবিত্র ওই সত্তা যিনি তাঁর বান্ধাকে রাতে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়াছেন । যার চারপাশ আমি বরকতময় করেছি, তাঁকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা ।
(সূরা বনি ইসরাইল ১৭;০১)
ইসরাঃ ইসরা অর্থ রাতে ভ্রমণ। মক্কা থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত রাসূল(সাঃ) এর ভ্রমণকে ইসরা বলে ।
মিরাজঃ মিরাজ অর্থ ঊর্ধ্ব ভ্রমণ। বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে সাত আসমানের উপর সিদরাতুল মুনতাহার গমন এবং সেখান থেকে বাইতুল মুকাদ্দাসে ফেরত আসা হলো মিরাজ ।
মিরাজ নিয়ে আজ আমাদের সমাজে অনেক বিভ্রান্তিমূলক প্রথা, অনুষ্ঠান প্রচলিত আছে । কুরআন ও হাদীসে যার কোনো দলিল নেই ।
২৭ রজব নিয়ে দুটি কথা
প্রথম কথাঃ মিরাজের কথা আমরা সবাই জানি এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। মিরাজের সাথে আমাদের ইসলামে দ্বিতীয় রুকন নামাজ জড়িত কারণ এ রাতেই পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ হয়।সমস্যা হলো এ রাত সম্পর্কে কোনো সহি হাদীস পাওয়া যায় না। প্রায় অর্ধশত সাহাবী মিরাজের ঘটনা বর্ণনা করেছেন কেউ কোনো মাস ,তারিখ উল্লেখ করেননি।তাবেয়ীরা কোনো মাস, তারিখ বলে যাননি। পরবর্তীতে মুহাদ্দিস,ঐতিহাসিকরা এ সম্পর্কে বিভিন্ন মত দেন । মাস সম্পর্কে মত-
১. রবিউস সানী
২. রজব
৩.রমযান
৪.শাওয়াল
৫.জিলকাদ
৬. জিলহজ্জ
তারিখ সম্পর্কে আরো বেশী মত পাওয়া যায়। সবমিলে প্রায় বিশটির মতো মত আছে।এসব গুলো শুধুই অনুমান ।আজ ,আমরা এই অনুমানের উপর নির্ভর করে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। আসুন আমরা কুরআন হাদীস পড়ে সঠিক আমল করি এবং সুন্দর জীবন গড়ি ।
রজব মাসের ২৭ তারিখ এতো জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কি?
রজব মাসের ২৭ তারিখে রসূল(সাঃ) জন্মগ্রহণ করেন,নবুয়ত লাভ করেন মর্মে জাল হাদীস প্রচলিত আছে। এ কারণে হয়তো এতো জনপ্রিয় ।
দ্বিতীয় কথাঃ মিরাজ উপলক্ষ্যে রজব মাসের ২৭ তারিখের রাতে বিশেষ নামাজ পড়া,দোয়া করা,জিকির করা ,মিলাদ পড়া সব মনগড়া কাজ ।মিরাজ কবে হয়েছে তাঁর সঠিক কোনো তথ্য নেই । রাসূল (সাঃ) , সাহাবী, তাবেয়ি কেউ কোনো দিন লাইলাতুল মিরাজ উদযাপন করেনি, করতে বলেনি । আসুন আমাদের সমাজের ভ্রান্ত মতবাদগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। অন্যদেরকে সচেতন করি, সঠিক বার্তার মাধ্যমে ।