আল কুরআনে সর্ব মোট ১১৪ টি সূরা আছে । সর্ব প্রথম ওহী অবতীর্ণ হয় সূরা আলাকের ১-৫ টি আয়াত।সূরা ফাতিহা অবতীর্ণ হওয়া সর্ব প্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা ।সমগ্র কুরআনের বিষয়বস্তু প্রতিফলিত হয়েছে ছোট্ট এই সূরাটির মধ্যে । এই সূরাটি কুরআনের ১১৩টি সূরার আয়না সরূপ । কুরআন শুরু হয়েছে এ সূরা দিয়ে এবং শেষ হয়েছে সূরা নাস দিয়ে ।
এ পোস্টে যা আছে –
- সূরা ফাতিহার উচ্চারণ, বাংলা অনুবাদ
- সূরা ফাতিহার নামকরণ ।
- সূরা ফাতিহার সুন্দর নাম সমূহ।
- সূরা ফাতিহার আয়াত , শব্দ ও অক্ষর ।
- বিসমিল্লাহ্ কি সূরা ফাতিহার অংশ ?
- সূরা ফাতিহার গুরুত্ব ।
- সূরা ফাতিহার ফজিলত ।
সূরা ফাতিহার উচ্চারণ ও বাংলা অনুবাদ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
বাংলা অনুবাদঃ
উচ্চারণঃ আল হামদুলিল্লাহ-হি রাব্বিল আ-লামীন ।
বাংলা অনুবাদঃ
উচ্চারণঃ আররাহমা-নির রাহীম ।
বাংলা অনুবাদঃ
উচ্চারণঃ মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন
বাংলা অনুবাদঃ
উচ্চারণঃ ইয়্যা-কা না’বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা’ঈন ।
বাংলা অনুবাদঃ
আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি, শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি ।
উচ্চারণঃ ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম ।
বাংলা অনুবাদঃ
উচ্চারণঃ সিরা-তাল্লাযীনা আন’আমতা ‘আলাইহিম ।
বাংলা অনুবাদঃ
উচ্চারণঃ গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দালীন ।
বাংলা অনুবাদঃ
আরো পড়ুন>> তাহাজ্জুদ সালাতের নিয়ম, ফযিলত ও গুরুত্ব
সূরা ফাতিহার নামকরণ
আল কুরআনে সূরার সংখ্যা ১১৪টি। প্রতিটি সূরার এক বা একাধিক নাম রয়েছে । এসব সূরার নামকরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে –
১. কুরআন ও হাদীস অনুসারে ।
২. আলেমদের ইজতেহাদ ভিত্তিতে।
৩. সূরার প্রথম শব্দ দিয়ে ।
৪. সূরার বিশেষ কোন শব্দ দিয়ে ।
৫. সূরার ভাবধারা ও বিষয় বস্তু থেকে ।
৬. একটি বিশেষ ঘটনার উপর নির্ভর করে ।
সূরা ফাতিহা র ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে । যেহেতু এই সূরা দিয়ে কুরআন শুরু হয়েছে তাই এ সূরার নাম “ফাতিহা ” রাখা হয়েছে । ফাতিহা অর্থ শুরু বা সূচনা । সূরা ফাতিহা পবিত্র কুরআনের উদ্বোধনী বক্তব্য, একটি মানপ্রত্র, একটি প্রার্থনা ।
সূরা ফাতিহার সুন্দর নাম সমূহ
সূরা ফাতিহার অনেকগুলো নাম রয়েছে যা অন্য কোন সুরাতে এতো সংখ্যক নাম পাওয়া যায় না । যেমন-
১. ফাতিহাতুল কিতাব । অর্থ আল কিতাব বা আল কুরআনের মুখবন্ধ, ভুমিকা । এ সূরা আল্লাহ্র কিতাব আল কুরআন মজীদের শুরুতে অবস্থিত এবং সকল নামাজের কিরাআত শুরু হয় এ সূরা দিয়ে এ জন্য এ সূরাকে ফাতিহাতুল কিতাব বলা হয় ।
২. উম্মুল কিতাব। অর্থ- কিতাবের মা । আরবিতে ‘উম্ম’ শব্দটি “মা”অর্থে ব্যবহৃত হয় আবার কোনো কিছুর কেন্দ্র বিন্দু বা সারনির্যাস অর্থেও ব্যবহৃত হয় । সমগ্র কুরআনে যে সব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে , সে সব আলোচনার বিষয়বস্তু এ সূরার সাতটি আয়াতে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে যার কারণে এ সুরাকে উম্মুল কিতাব বলা হয় ।
৩. উম্মুল কুরআন । অর্থ- কুরআনের মা ।
৪. সুরাতুদ হামদ। অর্থ- আল্লাহ্র প্রশংসার সূরা।
৫. আস সাব’উল মাসানী । অর্থ- বার বার পঠিত সাত ।
৬. সুরাতুল ওয়াফিয়া। অর্থ- পূর্ণাঙ্গ সূরা ।
৭. সূরা তুদ দু’আ । অর্থাৎ দু’আর সূর।
৮. সুরাতুল কানয । আরবিতে ‘কানয’ অর্থ খনি । এই সুরাকে খনি বলার কারণ – জ্ঞান বিজ্ঞানে দিয়ে পরিপূর্ণ করা হয়েছে । মানুষ যে কোনো ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে চায় তার তথ্য এ সূরা তা দিতে সক্ষম ।
৯. সূরাতুশ শিফা । অর্থ- আরোগ্য লাভের সূরা ।
১০. সুরাতুশ শুকর । অর্থ-কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সূরা ।
১১. সুরাতুস সাওয়াল। অর্থ- আল্লাহ্র নিকট চাওয়ার সূরা ।
১২. সুরাতুত তাফবিব । অর্থ- আত্মনিবেদন করার সূরা ।
১৩. সুরাতুল হিকমা । অর্থাৎ জ্ঞান বিজ্ঞানের সূরা ।
১৪. সূরাতুল আখলাক । অর্থাৎ নীতি নৈতিকতার সূরা ।
১৫. সূরাতুল কাসাস । অর্থাৎ ইতিহাসের সূরা ।
১৬. সুরাতুস সালাত । অর্থ সালাতের সূরা ।
সূরা ফাতিহার আয়াত,শব্দ ও অক্ষর
সূরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা নিয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই, সবাই একমত এর আয়াত সংখ্যা সাত ।কুরআন ও হাদীসে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
হাদীস থেকে
আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, উম্মুল কুরআন (সূরাহ ফাতিহা ) হচ্ছে পুনরাবৃত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন ।
সহীহ বুখারী হা.৪৩৪৪ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ )
আবু দাউদ ১৪৫৭, তিরমিযী ৩১২৪
আল কুরআন থেকে
আল্লাহ্ বলেন-
আমি তোমাকে দিয়েছে পুনঃ পুনঃ আবৃত্ত সাত (আয়াত) এবং মহাগ্রন্থ আল কুরআন ।
সূরা হিজর (১৫) ,আয়াত ৮৭
সূরা ফাতিহার শব্দ সংখ্যা ২৫ টি এবং মোট অক্ষর সংখ্যা ১১৩ টি ।
বিসমিল্লাহ্ কি সূরা ফাতিহার অংশ ?
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” আল কুরআনের সূরা নামল (২৭) আয়াত ৩০ এর অংশ ।আল কুরআনে ১১৪ টি সূরার ১১৩ টি সূরার শুরুতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” আছে । শুধু সূরা তাওবা এর শুরুতে বিসমিল্লাহ্ নেই ।
বিসমিল্লাহ্ সূরা ফাতিহা র অংশ কি না এটা নিয়ে অনেক মত আছে তার মধ্যে প্রধান মত দুটি-
প্রথম মতঃ একদল সাহাবী মনে করে বিসমিল্লাহ্ সূরা ফাতিহার অংশ । তাদের মতে সূরা ফাতিহা র “সিরাতাল্লাযীনা আন”আমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওলাদ দাল্লিন “ একটি আয়াত এবং মোট আয়াত সংখ্যা বিসমিল্লাহ্ সহ সাতটি ।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ), আবূ হুরাইরা (রাঃ) আলী (রাঃ), আতা (রহঃ), তাউস (রহঃ), সাঈদ ইবন যুবাইর(রহঃ) ,মাকহুল (রহঃ) এবং যুহরীর (রহঃ) এটাই নীতি ও অভিমত যে, “বিসমিল্লাহ “ সূরা বারাআত ছাড়া কুরআনের প্রত্যেক সুরারি একটি পৃথক আয়াত ।
– তাফসীর ইবন কাসীর
দ্বিতীয় মতঃ কেউ কেউ মনে করেন এটি সূরা ফাতিহার অংশ নয় বরকত লাভের জন্য শুরুতে ব্যবহার করা হয়েছে । তারা ‘সিরাতাল্লাযীনা আন’আমতা আলাইহিম’ কে এক আয়াত এবং ‘গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওলাদ দাল্লিন’ আলাদা আয়াত মনে করেন । সে মতেও মোট আয়াত সংখ্যা সাত ।
তবে ইমাম মালিক (রহঃ) এবং আবূ হানাফী(রহঃ) ও তাঁদের সহচরগণ বলেন যে, “বিসমিল্লাহ” সূরা ফাতিহারও আয়াত নয় বা অন্য কোন সূরারও আয়াত নয় ।
-তাফসীর ইবন কাসীর
সূরা ফাতিহার গুরুত্ব
সূরা ফাতিহা র গুরুত্ব অপরিসীম কারণ সমগ্র কুরআনের সারাংশ এই সুরাতে । এই সূরা সমগ্র মানব জাতির জন্য পথ ও পাথেয় ।
হাদীস নং-০১
হুসায়ন ইবন হুরায়ছ(রহঃ) —- উবাই ইবন কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা তাওরাত ও ইঞ্জিলে উম্মুল কুরআন এর মত যা হল সাবুউল মাছানী কিছু নাযিল করেননি। এটি আমার এবং আমার বান্দার মাঝে ভাগাভাগী। আমার বান্দা যা চাইবে তা-ই তার ।
সূনান তিরমিজী হা.৩১২৫ (ইসলামিক ফাইন্ডেশন বাংলাদেশ)
হাদীস নং-০২
আলী ইবনু আব্দুল্লাহ (রহঃ) —– উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার সালাত ( নামায/নামাজ) হল না ।
সহীহ বুখারী হা.৭২০ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ )
সূরা ফাতিহার ফজিলত
সূরা ফাতিহার ফজিলত সম্পর্কিত অনেক হাদীস আছে যা বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থ বর্ণনা করা হয়েছে।নীচে কয়েকটি হাদীস দেওয়া হলও –
হাদীস-০১
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও জিবরীল আলাইহিস সালাম উপবিষ্ট ছিলেন । তখন হঠাৎ উপরের দিকে ( এক ধরনের) শব্দ শোনা গেল । তখন জিবরীল আলাইহিস সালাম আকাশের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বললেন, এটা আকাশের একটি দরজা যা কখনো খোলা হয়নি । ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, অতঃপর সে দরজা দিয়ে একজন ফিরিশতা অবতরণ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেন, আমি আপনাকে দু’টি নূরের সুসংবাদ দিচ্ছি যা আপনাকে দেয়া হয়েছে, যা আপনার পূর্বে কোনো নবীকে দেয়া হয়নি । সূরা ফাতিহা ও সূরা বাকারাহ এর শেষাংশ । এর একটি অক্ষরের মাধ্যমে চাওয়া বস্তুও তাকে দেওয়া হবে ।
সহীহ মুসলিম হা. ১৭৪৭ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ )
হাদীস–০২
আবু নু’মান (রহঃ) … আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একদল সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন । তারা এক আরব গোত্রে পৌঁছে তাদের মেহমান হতে চাইলেন কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল । সে গোত্রে সর্দার বিচ্ছু দ্বারা দংশিত হল । লোকেরা তার ( আরোগ্যের) জন্য সব ধরনের চেষ্টা করল । কিন্তু কিছুতেই কোন উপকার হল না । তখন তাদের কেউ বলল, এ কাফেলা যারা এখানে অবতরন করেছে তাদের কাছে তোমরা গেলে ভাল হত । সম্ভবত, তাদের কারো কাছে কিছু থাকতে পারে । ওরা তাদের নিকট গেল এবং বলল, হে যাত্রীদল আমাদের সর্দারকে বিচ্ছু দংশন করেছে, আমরা সব রকমের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুতেই উপকার হচ্ছে না ।
তোমাদের কারো কাছে আছে কি? তাদের ( সাহাবীদের) একজন বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহ্র কসম আমি ঝাড়-ফুঁক করতে পারি । আমরা তোমাদের মেহমানদারী কামনা করেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের জন্য মেহমানদারী করনি । কাজেই আমি তোমাদের ঝাড়-ফুঁক করবো না, যে পর্যন্ত না তোমরা আমাদের জন্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ কর । তখন তারা এক পাল বকরীর শর্তে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হল ।
তারপর তিনি গিয়ে আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন (সূরা ফাতিহা ) পড়ে তার উপর ফুঁ দিতে লাগলেন । ফলে সে ( এমন ভাবে নিরাময় হল ) যেন বন্ধন থেকে মুক্ত হল এবং সে এমনভাবে চলতে ফিরতে লাগল যেন তার কোন কষ্টই ছিল না । (বর্ণনাকারী বলেন ) তারপর তারা তাদের স্বীকৃত পারিশ্রমিক পরোপুরি দিয়ে দিল । সাহাবীদের কেউ কেউ বলেন, এগুলো বণ্টন কর । কিন্তু যিনি ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন, তিনি বললেন এটা করবো না, যে পর্যন্ত না আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে তাঁকে এই ঘটনা জানাই এবং লক্ষ্য করি তিনি আমাদের কি হুকুম দেন ।
তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে ঘটনা বর্ণনা করলেন । তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলেন, তুমি কিভাবে জানলে যে, সূরা ফাতিহা একটি দূয়া? তারপর বলেন, তোমার ঠিকই করেছ । বণ্টন কর এবং তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটা অংশ রাখ । এ বলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসলেন এবং শো’ব (রহঃ) বলেন, আমার নিকট আবূ বিশর( রহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আমি মুতাওয়াক্কিল (রহঃ) থেকে এ হাদীস শুনেছি ।
সহীহ বুখারী হা. ২১৩২ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ )
হাদীস–০৩
মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ)…আবূ সাঈদ ইবনু মুয়ান্না (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে গেলেন, তখন আমি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলাম । তিনি আমাকে ডাক দিলেন, তখন আমি সালাত শেষ না করে আসিনি । এরপর আমি আসলাম । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আমার কাছে আসতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিল? আমি বললাম ,আমি সালাত আদায় করছিলাম ।
তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা’আলা কি একথা বলেননি, “হে ঈমানদারগন! আল্লাহ এবং রাসূলের ডাকে সাড়া দাও”? তারপর তিনি বললেন, আমি মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগেই কি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরাটি শিখিয়ে দিবনা? তারপর যখন রাসূ্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদ থেকে বের হতে লাগলেন, আমি তাঁকে সে কথা স্মরণ ক্রিয়ে দিলাম । তিনি বললেন, সে সূরাটি হল, “আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন”। এটি হল পুনরাবৃত্ত সাতটি আয়াত এবং মহা কুরআন যা আমাকে দান করা হয়েছে ।
সহীহ বুখারী হা. ২১৩২ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ )
সূরা ফাতিহা প্রতি দিন আমাদের নামাজে প্রতি রাকাতে পাঠ করতে হয় ।সমগ্র কুরআন এ শুধুমাত্র এই সূরা এমন একটি সূরা যা নামাজে পূর্ণাঙ্গ পাঠ করতে হয়, আংশিক পাঠ করলে নামাজ হবে না । কিন্তু নামাজে যদি সূরা বাকারাহ এর ৫ আয়াত পাঠ করা হয় তাহলে নামাজ হবে ।সুতরাং আমাদের সবার উচিত এ মহামুল্যবান সূরাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা ।আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন ।
(নিজে পড়ুন অন্যকে পড়তে শেয়ার করুন )
Pingback: ঈমান কাকে বলে » islamic world